লালমনিরহাটে কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দূর্নীতিবাজ বাবলু আহমেদ-এঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের ক্যান্টিন মোড়স্থ একটি কার্যালয়ের কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান এর আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাটের কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান। এ সময় লালমনিরহাটের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আমি মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতা মোঃ ছকমল হোসেন, গ্রামঃ দক্ষিণ গোবধা, উপজেলাঃ আদিতমারী, জেলাঃ লালমনিরহাট। আমি কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে স্থাপিত হওয়ার শুরু থেকেই অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বাবলু আহম্মেদ, পিতাঃ মৃত ফয়সার আলী, গ্রামঃ দক্ষিণ গোবধা, উপজেলাঃ আদিতমারী, জেলাঃ লালমনিরহাট এর সাথে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা চুক্তিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা হয়। পরবর্তীতে ২২/১১/২০২৩ইং তারিখে আমি তাহাকে আমার বাড়ীতে ডেকে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান করি। তার পেক্ষিতে কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বাবলু আহমেদ ২৭/১১/২০২৩ইং তারিখে আমাকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তিতে অবশিষ্ট্য ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করার চুক্তি হয় এবং আমি তিন মাসের মধ্যে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা পরিশোধ করি। মোট ৮,০০,০০০ লক্ষ টাকার ভিত্তিতে আমাকে স্থায়ী ভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী ১বছরের মাথায় প্রতি মাসে ০৫ হাজার/ ১০ হাজার করে টাকা চায় এবং তা দেই। আজ বিল হবে কাল বিল হবে/ হয়ে গেছে এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ১২বছর অতিক্রম করে। ২০২৪ইং জানুয়ারীতে এসে বলে যে, বিল্ডিং বরাদ্দে নিয়ে আসায় ৫০হাজার টাকা এবং সচিব পরিবর্তন হওয়ায় ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে দাবী করে। এ নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে সে আমার উপর আক্রমন করে। উক্ত টাকা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমি প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামকে বলি, উনি তখন আমাকে বলেন, টাকা না দিতে পারলে চাকুরী থেকে বাতিল করা হবে এই বলে আমাকে হুমকি দেয়। তিনি আমাকে আরও বলেন, তুই বাড়ীর বাহিরে বের হইতে পারবি না। তুই টাকা দিতে পারিস না আবার চাকুরী চাস। তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাঁটিয়ে সব-সময় ভয়ভীতি প্রদান করতেন। তখন আগের দেওয়া ৮,০০,০০০ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে ৭নং সিরিয়াল থেকে ৪১নং সিরিয়ালে দেওয়া হয় এবং টাকা দিবে না বলে জানায়। উল্লেখ্য যে, আমি সঠিক জানিনা যে একটি প্রতিষ্ঠানে কতজন শিক্ষক-কর্মচারী প্রয়োজন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫জন স্টাফ আছে এবং প্রতিজনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া আছে। এই পরিস্থিতিতে আমি বড় অসহায় হয়ে আদালতে শরণাপন্ন হই এবং বাবলু আমম্মেদ কে আদালতের মাধ্যমে উকিল নোটিশ করি। কিন্তু উকিল নোটিশ করার পর বাবলু আহম্মেদ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও আমার উপর আক্রমনের চেষ্টা চালায়। এই বিষয়ে আমি যাতে তার অপকর্ম সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলি। সে জন্য বাবলু আহম্মেদ বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এই অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার জন্য আমি আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। যাতে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে পারি এবং আমি ন্যায় বিচার পাই।
এ বিষয়ে কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বাবলু আহমেদ ও প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে বুধবার (১৪ আগস্ট) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান এর পক্ষে লালমনিরহাটের জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান মিজান কালিরহাট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বাবলু আহমেদকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছে মর্মে জানা গেছে।